রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ০২:৪৬ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
কোরবানির পশু প্রস্তুত করতে ব্যস্ত সাতক্ষীরার খামারিরা। কালের খবর চট্টগ্রামের ইপিজেডে ছুরিকাঘাতে যুবক খুন, ঘটনায় জড়িত মূল হোতাসহ ২জন গ্রেপ্তার। কালের খবর রাজধানী ঢাকা শহরে কোনো ব্যাটারিচালিত রিকশা চলবে না : সড়ক পরিবহনমন্ত্রী। কালের খবর সাতক্ষীরায় দাবিকৃত চাঁদা না পেয়ে ইয়াছিন আলীকে কুপিয়ে জখম। কালের খবর সাতক্ষীরার খোলপেটুয়া নদীর বেড়িবাঁধের বালুভর্তি জিও বস্তায় ফাটল। কালের খবর শাহজাহান আবদালীর সংক্ষিপ্ত পরিচিতি। কালের খবর নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য আবাসন প্রকল্প নিচ্ছে গণপূর্ত মন্ত্রণালয়। কালের খবর মাটিরাঙ্গার অপরাধ আখড়া রাজধানীর অভিজাত এলাকায় ( QD’S ) সিসা লাউঞ্জের নামে চলছে ব্ল্যাকমেইলসহ মাদক বাণিজ্য। কালের খবর গ্যাস সরকারি, বিল যাচ্ছে দালালের পকেটে
এম আর খানের মেয়েকে বাবার সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করার অভিযোগ। কালের খবর

এম আর খানের মেয়েকে বাবার সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করার অভিযোগ। কালের খবর

‘ঘুণাক্ষরেও বুঝতে পারিনি যে বাবার মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গেই একটি চক্র আমাকে চারদিক থেকে ঘিরে ধরবে। আমি চিন্তাও করতে পারিনি, ডাক্তার এম আর খানের সহায় সম্পত্তিকে গ্রাস করবে। আমি বাবার একমাত্র সন্তান এবং কন্যাসন্তান। আমার কোনো ভাই নেই। সেই আমাকেই কেউ আমার ন্যায্য উত্তরাধিকার থেকে বঞ্চিত করবে।’

বুধবার সংবাদ সম্মেলনে কথাগুলো বলছিলেন প্রয়াত জাতীয় অধ্যাপক ও শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ এম আর খানের মেয়ে ম্যান্ডি করিম।

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ‘সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলোজি’ এবং ‘সেন্ট্রাল হাসপাতাল’ জালিয়াতির মাধ্যমে দখলের অভিযোগে তিনি এই সংবাদ সম্মেলন করেন। ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সাগর-রুনি মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ম্যান্ডি করিমের স্বামী রেজা করিম ও তাঁদের আইনজীবী তামিম রহমান উপস্থিত ছিলেন। পরে সংবাদ সম্মেলনে অংশ নেন নাট্যকার মামুনুর রশীদ।

ম্যান্ডি করিম বলেন, ‘বাবার হাতে গড়া প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে আমার পাওনা শেয়ার, উত্তরাধিকার এবং ট্রাস্টি পদ থেকে আমাকে কৌশলে সরিয়ে রাখা ও বঞ্চিত করা হচ্ছে। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, আমার কোনো অধিকার নেই, আমি এম আর খানের কেউ নই। আমার বাবা প্রয়াত অধ্যাপক এম আর খানকে ভালোবেসে এবং তাঁর ওপর ভরসা করে একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদন দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। যার নাম “সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি”।

ম্যান্ডি করিম বলেন, ‘আমার বাবা যখন হাসপাতালে মৃত্যুপথযাত্রী, তখন গাজী সালাম নামের এক ব্যক্তি চক্রান্ত ও জালিয়াতি করে ইউনিভার্সিটির সকল প্রকার রেজুলেশন, ডকুমেন্টস এবং ট্রাস্টি বোর্ডের তালিকা থেকে আমার বাবার নাম বাদ দিয়ে দেন। আমার বাবা এবং ট্রাস্টি বোর্ডের অন্যান্য সদস্যের স্বাক্ষর জালিয়াতি করে তিনি এ কাজ করেন। আমার বাবার নাম বাদ দিয়ে নিজেকে ইউনিভার্সিটির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান করে তাঁর স্ত্রী ও মেয়েদের সমন্বয়ে একটি ভুয়া ট্রাস্টি বোর্ড গঠন করে শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনে জমা দেন।’

ম্যান্ডি করিম অভিযোগ করেন, ‘আমার বাবার অসুস্থতার সুযোগে তাঁর জমানো এফডিআরের টাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটির নামে আল-আরাফাহ্‌ ইসলামী ব্যাংকে জমা দেন গাজী সালাম। এসবের বিষয়ে আমি বা আমার পরিবারের কোনো সদস্য কিছুই জানতাম না। আমি অবগত হওয়ার পর একটি চিঠির মাধ্যমে বিষয়টি শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং ইউজিসিকে জানাই। এবং আমার বাবার অনুপস্থিতিতে আমাকে চেয়ারম্যান করে নতুন একটি ট্রাস্টি বোর্ড গঠনের অনুরোধ জানিয়েও কোনো প্রতিকার পাইনি।’
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন (বাঁ থেকে) নাট্যকার মামুনুর রশীদ, ডা. এম আর খানের জামাতা রেজা করিম, মেয়ে ম্যান্ডি করিম ও তাঁদের আইনজীবী তামিম রহমান। সাগর-রুনি মিলনায়তন, ডিআরইউ, ২০ জানুয়ারি

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন (বাঁ থেকে) নাট্যকার মামুনুর রশীদ, ডা. এম আর খানের জামাতা রেজা করিম, মেয়ে ম্যান্ডি করিম ও তাঁদের আইনজীবী তামিম রহমান। সাগর-রুনি মিলনায়তন, ডিআরইউ, ২০ জানুয়ারি
 ছবি : কালের খবর 

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, অধ্যাপক এম আর খান ছিলেন অ্যাডভান্স ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান। তাঁর এই ফাউন্ডেশনের নামে তিন বিঘা জমি বরাদ্দ দিয়েছিল সরকার। সেই জমিটিও বেদখল হয়ে গেছে। এম আর খানের হাতে গড়া অ্যাডভান্স ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন থেকেও অত্যন্ত কৌশলে তাঁর নাম বাদ দেওয়া হয়েছে। এমনকি, বর্তমান ট্রাস্টি বোর্ডে পরিবারের কাউকেই রাখা হয়নি। নানা মানুষের কাছ থেকে ইউনিভার্সিটির ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য করার কথা বলে কোটি কোটি টাকা নেওয়া হয়েছে।

ম্যান্ডি করিম বলেন, তাঁর এক চাচাতো ভাই এই হাসপাতালে আমার বাবার শেয়ারের অংশ দাবি করে চিঠি পাঠায়। চিঠিতে প্রভাবিত হয়ে সেন্ট্রাল হাসপাতালের বর্তমান পরিচালনা পরিষদ আজ অবধি কোনো বোর্ড মিটিংয়ে শেয়ার ট্রান্সফারের ব্যাপারটি উপস্থাপন করেননি। এ ছাড়া ধানমন্ডিতে আরও একটি প্রতিষ্ঠান নিবেদিতা নার্সিং হোম, যা এম আর খান প্রতিষ্ঠা করেন। এখানেও সেই সেন্ট্রাল হাসপাতালের মতো কয়েকজন পরিচালক তাঁকে সব কার্যক্রম থেকে দূরে সরিয়ে রেখেছেন। এই প্রতিষ্ঠানের তিনজন পরিচালক আবার সেন্ট্রাল হাসপাতালেরও পরিচালক।

দৈনিক কালের খবর নিয়মিত পড়ুন এবং বিজ্ঞাপন দিন..

কালের খবর মিডিয়া গ্রুপ লিমিটেডের একটি প্রতিষ্ঠান
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com